রুপসা উপজেলার খবর
খুলনায় কোনরকম ট্রেনিং নিয়েই দিচ্ছে দাঁতের চিকিৎসা, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলছে রোগীদের।
শরীফ মোল্লা
খুলনার রুপসায় আড্ডা গলির ভিতরে আবির ডেন্টাল কেয়ার নামে দন্ত চিকিৎসালয় খুলে শেখ মোঃশাহেদ নামক এক সু চতুর ব্যক্তি ডেন্টাল টেকনোলজিষ্ট সেজে সাধারণ রোগীদের সাথে প্রতারণা করে আসছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ উঠেছে।
খুলনা জেলায় রুপসা উপজেলার রুপসা ঘাট একটি জন ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা এই ভুয়া দন্ত চিকিৎসক দীর্ঘদিন ধরে অত্র এলাকার সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে চিকিৎসা সেবার নামে তাদের সাথে প্রতারণা করে আসছে
জানা যায় এই ভুয়া চিকিৎসক দাঁতের নরমাল চিকিৎসার বদলে দাঁত স্কেলিং রুট ক্যানেল করা সহ সার্জারিও করছেন।তার কাছে আছে বিডিএস সার্জনদের মত প্যাড, রোগীদের প্রেসক্রিপশন লিখে দিচ্ছে। প্রেসক্রিপশনে ইচ্ছেমত লিখছে এন্টিবায়োটিক সহ উচ্চ রক্তচাপ ও হার্টের ওষুধ। শেখ মোঃ শাহেদ রোগীদের সামনে নিজেকে খুলনা ২৫০শয্যা হাসপাতালের চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দেন। অসেচতন রোগীদের বিপাকে ফেলে সে চিকিৎসা সেবার নামে রীতিমতো প্রতারণা করে আসছে। এসব অনিয়মের ব্যাপারে প্রশাসনের সংশ্নিষ্টদের কোনো তদারকি নেই বলে অভিযোগ করেছেন রোগীরা।
দন্ত চিকিৎসার ক্ষেত্রে সাধারণত নরমাল দাঁতের চিকিৎসা দিতে চার বছরের ডিপ্লোমা কোর্স করার পর এক বছরের মেডিকেল কলেজ থেকে ইন্টারনি করা লাগে এবং সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জন এর অনুমতি নিয়েই তারা চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।
কিন্তু এই ভুয়া চিকিৎসকের কোন কিছুই না থাকার পরেও দাঁতের সব ধরনের চিকিৎসা দিয়েই রোগীদের সাথে প্রতারণা করে তাদেরকে বড় ধরনের বিপদে ফেলে দিচ্ছে। এমনকি এ সমস্ত রোগীদের দাঁতের ভুল চিকিৎসায় ক্যান্সার পর্যন্ত হয়ে থাকে।তাই এই ধরনের চিকিৎসায় সাধারণ রোগীরা পড়ছে ঝুঁকির ভিতরে।
এ বিষয়ে খুলনার সিভিল সার্জন মোঃ শবিজুর রহমান এর সাথে আলাপ করলে তিনি জানান প্রেসক্রিপশন লেখার কোনো সুযোগ নাই ,তাছাড়া উক্ত চিকিৎসক সম্পর্কে আমার জানা নাই উপজেলায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সাথে কথা বলেন তিনি ব্যাবস্থা না নিলে আমি বিষয়টা দেখবো।
রুপসা উপজেলা স্বাস্থ্য ওপ,প কর্মকর্তা ডাঃ শেখ শফিকুল ইসলাম বলেন ডেন্টাল এর চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠানে আমাদের অনুমোদন লাগে এ প্রতিষ্ঠানে আমাদের কোনো অনুমোদন নেই তার কার্যক্রম অবৈধ।
এ বিষয়ে সমাজের সচেতন মহল এ সমস্ত ভুঁই ফোড় ভুয়া প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান।
0 Comments