খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার চিহ্নিত সন্ত্রাসী মাসুম ও তার বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে আড়ুয়া এলাকার শান্তিপ্রিয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। মাস যেতে না যেতেই দিঘলিয়া উপজেলার গাজীরহাটে আবারো হিন্দু সম্প্রদায়ের এক যুবকের উপর সন্ত্রাসী মাসুম মোল্লার নেতৃত্বে হামলা।
দিঘলিয়া থানায় মামলা দায়ের।
এলাকাবাসী ও দিঘলিয়া থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার দিবাগত রাতে দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর ইউনিয়নের আড়ুয়া গ্রামের মৃত রতন সরকারের পুত্র হৃদয় সরকার ওরফে বাঁধন (২২) বন্ধুদের সাথে গাজীরহাট মহাশ্মশানে নামযজ্ঞ অনুষ্ঠানে যায়। সেখানে রাত সাড়ে ৮ টার দিকে তাকে পাশে ডেকে নিয়ে আড়ুয়া ফেরীঘাটের ইজারাদার বিল্লাল মোল্যার পুত্র মাসুম মোল্যার নেতৃত্বে তার পুত্র ফারদিন মোল্যাসহ ৭/৮ জনের সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী তার উপর চড়াও হয়। এ সময় তাকে গুরুতর আহত করে। তার মাথা কেটে রক্তাক্ত জখম হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে দিঘলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
উক্ত মাসুম চলতি মাসের ২ তারিখে স্কুল চলাকালীন স্কুলের মধ্যে অবাঞ্ছিতভাবে ঢুকে ৩ ছাত্রকে ধরে এনে আড়ুয়া খেয়াঘাটের ওপর অমানবিক নির্যাতন ও মারধর করা হয়। এ ঘটনায়ও দিঘলিয়া থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। মামলা থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে এলাকায় ফিরে আবার ও সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা যায়। উক্ত মাসুম মোল্যা ও তার পুত্রের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা, নির্যাতন, ভূমি দখল, অবৈধ আধিপত্য বিস্তার, এলাকায় নানাভাবে ত্রাসের সৃষ্টি করার ব্যাপক অভিযোগ পাওয়া যায়। আড়ুয়া খেয়া ঘাটের ইজারাদার হিসেবে ঘাট পারাপার যাত্রীদের সাথেও অশালীন আচরণ ও অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। দিঘলিয়া উপজেলার সাবেক ইউএনও উক্ত মাসুমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগে ঘাট ইজারা থেকে অব্যাহতি দেন। এবং খেয়াঘাটটি বারাকপুর ইউনিয়নের খাস কালেকশনে দেওয়া হয়। যে ঘাটটি উক্ত মাসুম নানা কৌশলে পুণরায় ইজারা নিয়ে ঘাটসহ এলাকায় আবারো ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগে জানা যায়। মাসুম মোল্লার এহেন আচরণের পিছনে হাত কার, তার খুঁটির জোর কোথায়।এলাকাবাসী এ মাসুম মোল্যা ও তার পুত্র ফারদিন মোল্যার গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।
0 Comments